ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটা ব্যবসা, যেখানে আপনার না আছে কোন প্রোডাক্ট, না আছে কোন দোকান। অথচ আপনার মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে। মজার না? সোজা কথায় আপনার কাজ হচ্ছে, আপনি একজন পাইকার সেজে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের অস্থায়ীভাবে একত্রে নিয়ে আসবেন একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ড্রপ শিপিং এর ব্যাবসা অনেকটা ই-কমার্স ব্যাবসার মতই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে এতটুকুই যে আপনার নিজস্ব কোন পন্য নাই। উদাহরণস্বরূপ, আপনি https://www.alibaba.com/ থেকে একজোড়া জুতার ছবি এবং বিবরণ আপনার ওয়েবসাইটে এনে সাজিয়ে রাখলেন এবং এর মার্কেটিং করলেন। আলিবাবা ঐ জুতা জোড়া বিক্রি করছে ৫০০ টাকায়, আর আপনি দাম লিখে রেখেছেন ৬০০ টাকা।
যদি কোন ক্রেতা এই পন্যটি অর্ডার করে, তাহলে আপনি ঐ ক্রেতার ঠিকানা ব্যাবহার করে আলিবাবা থেকে পন্যটি ৫০০ টাকায় কিনে নিবেন। আলিবাবা তখন ঐ জুতা জোড়া ঐ ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিবে। আপনি মাঝখান থেকে ১০০ টাকা লাভবান হবেন। উল্লেখ্য যে আলিবাবা তার আসল দামটা ব্যাবসায়িক স্বার্থে গোপন রাখবে। এটাই মূলত ড্রপ শিপিং বিজনেস।
অনেকে ড্রপ শিপিং আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে পন্যের ভালোমন্দ ক্রেতার কাছে তুলে ধরা। উদাহরণস্বরূপ, https://www.amazon.com/ থেকে একটি পন্যের বিস্তারিত বিবরণ এবং এর ভালো খারাপ দিক আপনি আপনার ওয়েবসাইটে তুলে ধরবেন। কোন ক্রেতা এই বিবরণ পড়ে মুগ্ধ হলে বা তাঁর প্রয়োজন মনে হলে যখন অর্ডার করবে তখন অ্যামাজন ঐ পন্য থেকে একটা কমিশন আপনি পাবেন। উল্লেখ্য যে এখানে ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করতে পারবেনা। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটটি ই-কমার্স হবার দরকার নেই। আপনি শুধু অ্যামাজনের ঐ পণ্যের লিংক আপনার ওয়েবসাইটে ঐ পণ্যের বিবরণে দিয়ে দিবেন ব্যাস। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ রিভিউ রাইটারদের অনেক বড় একটা ভূমিকা রয়েছে।